সালেহ্ বিপ্লব: [২] চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। শিগগির এটি যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। সূত্র: বাসস

[৩] প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা বহুল প্রতীক্ষিত টানেলটি সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের জন্য দিনরাত কাজ করছেন।

[৪] তিনি বলেন, বাকি দুই শতাংশ কাজ শিগগিরই শেষ হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে।

[৫] প্রকল্প পরিচালক বলেন, টানেলে বড় আর কোনো কাজ নেই। দুটি টিউবই প্রস্তুত রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা আগস্টের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারব। তবে কবে উদ্বোধন করা হবে তা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

[৬] এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন।

[৭] টানেলটি চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি উইথ টু টাউনস’-এ পরিণত করবে। মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরকে আনোয়ারা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করবে। আর এর মাধ্যমে  কক্সবাজার সরাসরি চট্টগ্রামের সাথে সংযুক্ত হবে। 

[৮] এই প্রকল্পের আওতায় ১১ মিটার ব্যবধানে দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজে টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে পারে।

[৯] টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪০ কিলোমিটার। ৫.৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোডসহ ৭৪০ মিটার একটি ওভারব্রিজ মূল বন্দর নগরী এবং নদীর পশ্চিম প্রান্তকে সংযুক্ত করেছে।

[১০] বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

[১১] ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

[১২] টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। এই টানেলে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে যানবাহন চলবে।

[১৩] বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।

[১৪] ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, টানেলটি চালু হলে এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হবে। এই টানেলের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না